খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি


রাজধানীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বড় ধরনের সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল ৩টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে।

সমাবেশে ব্যবহারের জন্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কের পূর্ব দিকে পল্টন মসজিদ এবং পশ্চিম দিকে ঢাকা ব্যাংক ভবন পর্যন্ত মাইক লাগানোর মৌখিক অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

এরই মধ্যে সড়কে বিদ্যুৎ ও ল্যাম্পপোস্টের খুঁটিতে মাইক লাগানো হয়েছে। তবে সমাবেশের অনুমতি পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চ তৈরির সুযোগ পায়নি বিএনপি। ফলে খোলা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়েই দলের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির বলেন, অনুমতি পাওয়ার পর আমরা সময় পেয়েছি কম। তার পরও সমাবেশের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। জুমার পর বিকাল ৩টায় সমাবেশের কার্য্ক্রম শুরু হবে।

রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে মহানগর-জেলা-উপজেলায় একযোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করার জন্য গত পাঁচ মাসে অসংখ্যবার অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। কিন্তু কিছুতেই মিলছিল না পুলিশের অনুমতি। অবশেষে তাদের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এদিকে সমাবেশ করতে বিএনপিকে ২৩টি শর্ত দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করতে হবে। লাঠি, বাঁশ, ছুরি, কাঁচি, বিস্ফোরকদ্রব্য মিছিলে ব্যবহার করা বা সমাবেশে নেওয়া যাবে না। সমাবেশ চলাকালে রাস্তা দখল করে নেতাকর্মীরা দাঁড়াতে পারবেন না। বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়ালে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে।

গত ১৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি; সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।